শরিয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়া, নতুন সংযোগে অবৈধ টাকা গ্রহণ, খুঁটি স্থানান্তরে অতিরিক্ত টাকা আদায়, অতিরিক্ত বিল আদায়সহ বিভিন্ন কাজে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে ও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মের কারণে ফুঁসে উঠছেন গ্রাহকরা।
আংগারিয়া এলাকার গ্রাহক মতিউর রহমান বেপারি জানান, শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়া, নতুন সংযোগে অবৈধ টাকা গ্রহণ, খুঁটি স্থানান্তরে অতিরিক্ত টাকা আদায়, অতিরিক্ত বিল আদায়সহ বিভিন্ন কাজে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাপক অনিয়ম করছে। তারা অতিরিক্ত টাকা ছাড়া কোনো কাজই করে না।
আংগারিয়া ইউনিয়নের উত্তর ভাষানচর গ্রামে ২০১৪ সালে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুতের লাইন দিয়ে সেখানে ১০ কেভি একটি ট্রান্সমিটার দেয়া হয়। ওই ট্রান্সমিটার মাত্র ২০টি মিটার সংযোগের ক্ষমতা সম্পন্ন। অথচ টাকার বিনিময়ে ওই ট্রান্সমিটারের সঙ্গে অতিরিক্ত মিটারের সংযোগ দেয়া হয়। সংযোগ অনুপাতে ১৫ কেভি ট্রান্সমিটার প্রয়োজন। ফলে ওই ট্রান্সমিটার বিদ্যুতের লোড নিতে না পেরে বিস্ফোরিত হয়ে যায়।
পরবর্তীতে নতুন করে টাকা জমা দিয়ে পুনরায় ট্রান্সমিটার দেয়া হয়। এমনিভাবে দুইবার টাকার বিনিময় ট্রন্সমিটার দেয়া হয়। ৩০ অক্টোবর ট্রান্সমিটারটি পুনরায় পুড়ে যায়। ফলে ওই এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে। এখন পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মকর্তা গ্রাহকদের কাছে ২৩ হাজার ৭শ’ টাকা জমা দিয়ে ট্রান্সমিটার নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। বার বার এমনিভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হয়রানি করছে।
এ হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকদের পক্ষে হাজি নুরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক বরাবরে এক অভিযোগ দায়ের করেছে। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ট্রান্সমিটারটি গ্রাহকদের ভুলের কারণে পুড়ে গেছে। গ্রাহকদের ভুলের কারণে ট্রান্সমিটার কিভাবে পুড়ে যায় সে বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি লাইন কেটে দেন। এ কারণে মেরামত খরচ বাবদ ২৩ হাজার ৫০৪ টাকা জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।